রেসিপির গল্প এবং কেন এই রেসিপিটি বিশেষ?

কৈ মাছ রান্না বাঙালির রান্না ঘরে বহুদিনের প্রিয় রান্না। আর কৈ মাছের প্রচলিত সব রান্নার চেয়ে বাঁধাকপি দিয়ে কৈ মাছ রান্না এক ব্যাতিক্রমি সংযোজন। এই অনন্য সবজি, যা সহজেই মশলার স্বাদ গ্রহণ করে।
এই রেসিপিতে আমরা কৈ মাছের সঙ্গে বাঁধাকপির দারুণ এক মেলবন্ধন ঘটিয়েছি, যা স্বাদে ও পুষ্টিগুণে অনন্য। সরষের তেল ও সামান্য মশলার সংমিশ্রণে এই রান্নাটি হয়ে ওঠে অতুলনীয়!
কেন এই রান্নাটি খেতে ভালো লাগবে?
- বাঁধাকপির নরম টেক্সচার কৈ মাছের সাথে এক অনন্য স্বাদ তৈরি করে।
- সরষের তেলের ঘ্রাণ খাবারকে আরও আকর্ষণীয় করে তোলে।
- সহজলভ্য উপকরণ দিয়ে স্বাস্থ্যকর ও হালকা রান্না।
- পেট ভরানো, সুস্বাদু এবং সহজে হজম হয়।
যা যা লাগবে রান্নাটি করতেঃ
- কৈ মাছ
- বাঁধাকপি
- কাঁচা মরিচ
- সরিষার তেল
- হলুদ গুঁড়া
- মরিচ গুঁড়া
- জিরা গুঁড়া
- দারুচিনি, এলাচ
- লবণ
স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
- কৈ মাছ প্রচুর প্রোটিন ও ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সমৃদ্ধ, যা হৃদযন্ত্রের জন্য উপকারী।
- বাঁধাকপি ফাইবার ও ভিটামিন সি-এর চমৎকার উৎস, যা হজমের সহায়ক।
- সরিষার তেল মনোস্যাচুরেটেড ও পলিস্যাচুরেটেড ফ্যাট সমৃদ্ধ ও অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর।
পরিবেশনঃ
এই মজাদার বাঁধাকপি-কৈ মাছ গরম ভাতের সাথে পরিবেশন করুন। স্বাদ এবং সৌন্দর্য্য বারাতে বাঁধাকপির পাতায় বা খোলে পরিবেশন করুন।
তাহলে আর দেরি কেন? আজই রান্না করে দেখুন বাঁধাকপি দিয়ে কৈ মাছ, আর আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের জানাতে ভুলবেন না!

শীতের দুপুরে বাঁধাকপি দিয়ে কৈ মাছ
সুস্বাদু ও ঘ্রাণে ভরপুর বাধাকপি দিয়ে কৈ মাছের তরকারি! সরিষার তেল দিয়ে রান্না মাখা মাখা স্বাদ, বাটা মশলার দারুণ মিশ্রণ আর কৈ মাছের নরম টেক্সচার – একেবারে পারফেক্ট ঘরোয়া খাবার। এছাড়া এই খাবার পুষ্টিকর, সহজে তৈরি করা যায় এবং বাঙালি খাবারের টেবিলে একটি অতুলনীয় সংযোজন। ব্যস্ত দিনের ডিনার বা বিশেষ দিনের খাবারের জন্য এটি একদম উপযুক্ত।
Prep Time 30 minutes mins
Cook Time 30 minutes mins
Course Main Course
Cuisine Bengali
Servings 6
Ingredients
- ৬ টি কৈ মাছ
- ১ টি বাঁধাকপি
- ৭-৮ টি নতুন আলু (দুই টুকরো করে কাটা)
- ১/২ কাপ সরিষার তেল
- ১/২ কাপ জিরা
- ২ টি তেজপাতা
- ৩ টি শুকনো মরিচ
- ৩-৪ টি এলাচ
- ২-৩ টি দারুচিনি
- ৬-৭ টি কাঁচা মরিচ
- ১ চা চামচ লবণ
- ১/২ চা চামচ চিনি
- ১ টেবিল চামচ ঘি
Instructions
- প্রথমে বাধাকপিটি ধুয়ে পাতলা কুচি করে কেটে নিতে হবে। এসময় বড় টুকরো যেন না থাকে।
- এরপর কয়েকটা নতুন আলু দুই টুকরো করে কেটে নিতে হবে। চাইলে এই রান্নায় বড় আলুও ব্যবহার করা যায়। নতুন আলু এই রান্নায় কিছুটা সিজনের আমেজ এনে দেয়।
- এই রান্নার মূল উপকরণ, কৈ মাছগুলো ভালো করে কেটে- ধুয়ে হলুদ, লবণ, মরিচ গুঁড়া ও সাদা তেল মাখিয়ে ১০ মিনিট রেখে দিন।
- শুকনো খোলায় বা প্যানে আস্ত জিরা ভেজে নিন। এরপর শীলে দিয়ে এলাচ ও দারুচিনি দিয়ে মিহি পেস্ট তৈরি করুন। সামান্য পরিমান জল দিন বাটার সময়। শীলে বাটা জিরা এই রান্নার আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ উপকরণ। জিরা ভালো হলে এই রান্নার স্বাদ হবে একদম অসাধারণ।
- মূল রান্নার শুরুতে কড়াইতে সরিষার তেল দিয়ে মাখানো কৈ মাছগুলো দুই দিক ভেজে তুলে রাখুন একটি পাত্রে।
- ঐ তেলে জিরা, কাঁচা মরিচ ও তেজপাতা দিয়ে হালকা ভেজে কেটে রাখা আলুগুলো যোগ করুন। সোনালি রং হলে তুলে রেখে দিন।
- এবাড় কড়াইতে বাঁধাকপি দিয়ে দিন। হলুদ, লবণ ও মরিচ গুঁড়া মিশিয়ে অল্প পানি দিয়ে নেড়ে ঢেকে রাখুন।
- কিছু সময় বাঁধাকপি নরম হলে ঢাকনা খুলে ভেজে রাখা আলু, কাঁচা মরিচ, চিনি ও শীলে বাটা জিরার পেস্ট যোগ করুন। এবার ভালোভাবে মসলা মিশিয়ে নিতে হবে। চুলার আঁচ থাকবে মিডিয়াম।
- মসলা মিশে গেলে ভেজে রাখা কৈ মাছ গুলো যোগ করতে হবে। ১- ২ টেবিল চামচ ঘী ছড়িয়ে দিয়ে খুব সাবধানে নাড়াচাড়া করতে হবে যেন মাছ গুলো ভেঙ্গে না যায়।
- ৩-৪ মিনিট মাঝারি আঁচে রান্না করুন যাতে মশলা মাছের সাথে ভালোভাবে মিশে যায়।
Notes
অতিরিক্ত টিপসঃ
১. নতুন আলুর পরিবর্তে বড় আলুও ব্যবহার করা যাবে।
২. বাধাকপি কুচি করার সময় পানি ঝরিয়ে নিন, এতে রান্নার সময় ঝোল কম হবে।
৩. কৈ মাছ রান্নার সময় সাবধানে নাড়ুন যাতে মাছ ভেঙে না যায়।
৪. দেশি কৈ মাছ হলে এই রান্নার স্বাদ বাড়বে বহুগুনে।
৫. পরিবেশনের সময় বাধাকপির বড় পাতায় খাবার সাজালে আকর্ষণ বাড়ে। পরিশেষে, বাধাকপি ও কৈ মাছের এই রেসিপিটি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী রান্নার একটি অংশ। এই রান্নাটি সাধারণত শীতের সময় বেশি রান্না করা হয়, কারণ তখন বাধাকপি এবং কৈ মাছ সহজলভ্য। জিরা, এলাচ ও দারুচিনির শীলে বাটা মশলা এই রান্নার স্বাদে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। বাধাকপি দিয়ে কৈ মাছ একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু বাঙালি খাবার। তবে শহরে এই রান্নাটার তেমন প্রচলন নেই। কিছু গ্রাম এবং অঞ্চলে এই খাবার রান্নার প্রচলন রয়েছে। গরম ভাতের সাথে পরিবেশনের জন্য এটি একটি নিখুঁত আইটেম। সহজলভ্য উপকরণ ও ট্রেডিশনাল মশলার মিশ্রণে তৈরি এই রেসিপিটি আপনার প্রতিদিনের খাবারকে আরও স্মরণীয় করে তুলবে। আপনার অঞ্চলে কৈ মাছের কোনো আঞ্চলিক রেসিপি থাকলে জানাতে ভুলবেন না।
২. বাধাকপি কুচি করার সময় পানি ঝরিয়ে নিন, এতে রান্নার সময় ঝোল কম হবে।
৩. কৈ মাছ রান্নার সময় সাবধানে নাড়ুন যাতে মাছ ভেঙে না যায়।
৪. দেশি কৈ মাছ হলে এই রান্নার স্বাদ বাড়বে বহুগুনে।
৫. পরিবেশনের সময় বাধাকপির বড় পাতায় খাবার সাজালে আকর্ষণ বাড়ে। পরিশেষে, বাধাকপি ও কৈ মাছের এই রেসিপিটি গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী রান্নার একটি অংশ। এই রান্নাটি সাধারণত শীতের সময় বেশি রান্না করা হয়, কারণ তখন বাধাকপি এবং কৈ মাছ সহজলভ্য। জিরা, এলাচ ও দারুচিনির শীলে বাটা মশলা এই রান্নার স্বাদে ভিন্ন মাত্রা যোগ করে। বাধাকপি দিয়ে কৈ মাছ একটি পুষ্টিকর এবং সুস্বাদু বাঙালি খাবার। তবে শহরে এই রান্নাটার তেমন প্রচলন নেই। কিছু গ্রাম এবং অঞ্চলে এই খাবার রান্নার প্রচলন রয়েছে। গরম ভাতের সাথে পরিবেশনের জন্য এটি একটি নিখুঁত আইটেম। সহজলভ্য উপকরণ ও ট্রেডিশনাল মশলার মিশ্রণে তৈরি এই রেসিপিটি আপনার প্রতিদিনের খাবারকে আরও স্মরণীয় করে তুলবে। আপনার অঞ্চলে কৈ মাছের কোনো আঞ্চলিক রেসিপি থাকলে জানাতে ভুলবেন না।
Keyword Bangladeshi local recipe, Bengali Fish Recipe, Deshi Koi Mach, Cabbage Curry, Village Fish Cooking