ক্ষীর প্রস্তুতি: প্রথমে ২ লিটার দুধ একটি পাত্রে নিয়ে মাঝারি আঁচে জ্বাল দিতে শুরু করুন। দুধটা কিছুটা ঘন হলে কিছু সময় পর পর নেড়ে দিতে হবে।
দুধ ঘন হতে কিছুটা চালের গুঁড়া যোগ করলে কাজটি দ্রুত হবে। তবে সময় থাকলে দুধটি স্বাভাবিকভাবে ঘন করে নিতে পারেন।
যখন দুধ ঘন হয়ে যাবে, পাটালি গুড় কেটে ক্ষীরের মধ্যে যোগ করুন। গুড়ের পরিমান স্বাদ অনুযায়ী যোগ করতে পারেন।
ধৈর্য ধরে নেড়ে নিয়ে ভালোভাবে গুড়টি মিশিয়ে ক্ষীরটি তৈরি করুন। শেষ দিকে যখন দুধ অনেকটাই ঘন হয়ে আসে, তখন অনবরত নেড়ে দিতে হয়।
যখন ক্ষীরটি ঠাণ্ডা হবে, এটি একটু জমে যাবে তখন পাটিসাপটার পুরের জন্য এটি একদম পারফেক্ট হবে। এছাড়া ঠান্ড হয়ে জমে যাবার পর ক্ষীর বা ক্ষীরসার ঘনত্বও বাড়বে।
পাটিসাপটার ব্যাটার প্রস্তুতি: একটি পাত্রে সম পরিমাণ ময়দা, চালের গুঁড়া এবং খেজুর গুড়ের রস (বা গুড়) মিশিয়ে নিন।
এরপর কিছু সময় ময়ান দিয়ে দুধ যোগ করে ব্যাটার তৈরি করুন। ব্যাটারটি কিছুটা পাতলা হবে, তবে বেশি পাতলা বা ঘন নয়।
ব্যাটারটিকে ঢেকে কিছুক্ষণ রেস্টে রেখে দিতে হবে।
পাটিসাপটা তৈরি: একটি ননস্টিক প্যান বা তাওয়ায় সামান্য সরিষার তেল মাখিয়ে নিন।
ব্যাটার দিয়ে প্যানের মধ্যে রুটির মতো গোলাকার বানিয়ে দিন। গোলাকার এই রুটিকে পাটিসাপটার পাটি বলে ।
এর ভেতর এখন কিছুটা ক্ষীর পুর দিতে হবে।
পুর দেয়ার পর রুটির অংশটি সাধারণত তিনটি ভাজ দিলেই পাটিসাপটা পিঠার আকৃতি হয়ে যায়। এবার প্যানে কিছু ছেঁকে নিলে বা একদম অল্প করে ভেজে নিলেই তৈরি অসম্ভব মজাদার ক্ষীরের পাটিসাপটা পিঠা।
নারিকেল যুক্ত পাটিসাপটা (ঐচ্ছিক): আমরা এখানে নারিকেল ব্যবহার করিনি, তবে আপনি চাইলে ক্ষীরের সাথে নারিকেল মিশিয়ে একটি ভিন্ন স্বাদের পাটিসাপটা তৈরি করতে পারেন। বিস্তারিত রেসিপি পরবর্তীতে দিয়ে দিবো।