প্রথমে কচুর টুকরোগুলো ভালোভাবে কেটে- ধুয়ে পরিষ্কার করে নিন। এই সময়, ছুরির সাহায্যে কচুর গায়ে কিছুটা কোঁচ কেটে বা কাঁচিয়ে নিলে মসলার স্বাদ কচুর ভেতরে গভীরভাবে প্রবেশ করবে এবং রান্নার পর মসলার স্বাদ আরও ভালোভাবে কচুর ভেতরে প্রবেশ করবে।
এরপর কচুর টুকরো গুলোতে লবণ মাখিয়ে কিছু সময় রেখে দিলে ভালো হয়। কচুতে লবণ মাখিয়ে রাখলে চুলকানি বা গলায় ধরার সম্ভাবনা কমে, কষ দূর হয় এবং কচু নরম হয়ে রান্নার উপযোগী হয়।
কিছুক্ষণ পরে একটি পাত্রে সয়াবিন তেল দিয়ে দিন। তেলটা ভালোভাবে গরম হয়ে গেলে কচুর টুকরোগুলো একে একে পাত্রে দিয়ে দিন এবং সোনালী রঙ হওয়া পর্যন্ত ভালোমতো ভেজে নিন। ভাজা হয়ে গেলে কচুর টুকরোগুলো তুলে একটি আলাদা প্লেটে রেখে দিন, যেন অতিরিক্ত তেল ঝরে যায়।
এবার ঐ তেলের সাথে সামান্য তেল যোগ করে তাতে এলাচ, দারুচিনি, তেজপাতা দিয়ে ফোড়ন দিন।
এই ধাপে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে হালকা সোনালী রঙ আসা পর্যন্ত ভেজে নিতে হবে, এতে পেঁয়াজের স্বাদ পুরোপুরি বের হয়ে আসে। পেঁয়াজ সোনালী হয়ে গেলে তাতে রসুন বাটা, পেঁয়াজ বাটা, জিরা গুঁড়ো, ধনিয়া গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো এবং মরিচ গুঁড়ো একে একে দিয়ে ভালোভাবে মসলা কষিয়ে নিন। মসলাগুলো সম্পূর্ণ তেল ছাড়া না হয়ে, সুন্দরভাবে কষিয়ে গেলে এর স্বাদ আরও বাড়বে। যেহেতু পরবর্তীতে আরও কয়েকটি উপকরণ অ্যাড করা হবে।
এরপর মসলাগুলোকে টক দই, কাজু বাদাম এবং কাঠ বাদামের বাটার সাথে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন এবং সেগুলোকে একটি নির্দিষ্ট সময় ধরে কষিয়ে নিতে থাকুন, যতক্ষণ না মসলার মধ্যে থাকা তেল পুরোপুরি আলাদা হয়ে যায় এবং মসলা স্বাদ গাঢ় ও সুগন্ধি হয়।
এখন ভাজা কচুগুলো মসলার মধ্যে দিয়ে ভালোভাবে নেড়ে নিন, যাতে মসলাগুলো কচুর প্রতিটি টুকরোর সাথে মিশে যায় এবং একটি সুন্দর স্বাদ তৈরি হয়। তারপর এতে তরল দুধ যোগ করুন এবং প্রয়োজন মতো পানি মেশান। এরপর ঢাকনা দিয়ে ১৫-২০ মিনিট ধীরে ধীরে রান্না হতে দিন, যাতে কচু এবং মসলার সুগন্ধ একে অপরের মধ্যে মিশে যায় এবং তা খাবার উপযোগী স্বাদে পরিণত হয়।
প্রায় ২০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে, ভিতরে জমে থাকা মসলার সৌরভে মাতিয়ে কাঁচা মরিচ, মিষ্টি চিনি, গরম মসলা এবং এক চামচ মাখন বা ঘি যোগ করুন। সব উপকরণ একসাথে ভালোভাবে মিশিয়ে, কিছু সময় নেড়ে নেড়ে রান্নার স্বাদে যোগ করুন অনন্য মাত্রা।
নামানোর আগে বেরেস্তা ছিটিয়ে পরিবেশন করুন, যা স্বাদ আরও বাড়িয়ে দেবে।