রেসিপির গল্প এবং কেন এই রেসিপিটি বিশেষ?
মরিচের আচার বাঙালিদের খাবার তালিকায় একটি অনন্য সংযোজন। ঝাল খাবারের প্রতি আমাদের ভালোবাসা চিরন্তন। মরিচের আচার সেই ভালোবাসাকে পূর্ণতা দেয়, বিশেষ করে যখন খাবারের স্বাদে একঘেয়েমি চলে আসে। সহজলভ্য উপকরণ আর সরল পদ্ধতিতে তৈরি এই আচার আপনাকে খুব সহজেই অন্যরকম এক স্বাদের জগতে নিয়ে যাবে।
কেন এটি খেতে ভালো লাগবেঃ
১. ঝালপ্রেমীদের জন্য আদর্শ; ঝাল মরিচের তীব্রতা খাবারে এক অসাধারণ মাত্রা যোগ করে।
২. অল্প পরিমাণে খেলেও খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ বেড়ে যায়।
৩. সাধারণ ডাল-ভাত বা পরোটা, লুচির মতো খাবারের সাথে এটি খেতে দারুণ লাগে।
স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
- মরিচে থাকা ক্যাপসাইসিন মেটাবলিজম বাড়াতে সহায়তা করে।
- এটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।
- হজম শক্তি উন্নত করতে সহায়ক।
পরিবেশনঃ
এই আচারটি আপনি ভাত, খিচুড়ি, পরোটা, লুচি বা যেকোনো শুকনো খাবারের সঙ্গে পরিবেশন করতে পারেন। অল্প পরিমাণেই এই আচার খাবারের স্বাদকে বহুগুণ বাড়িয়ে তোলে।
চলুন বানিয়ে নেওয়া যাক মরিচের আচার। ঝাল স্বাদের এই আচার আপনার প্রতিদিনের খাবারে আনবে এক ভিন্ন স্বাদ ও রোমাঞ্চ।

কাঁচা মরিচের সহজ পদ্ধতির আচার - মাত্র ২০ মিনিটে তৈরি
কাঁচা মরিচের আচার ঝালপ্রেমী ভোজন রসিকদের কাছে এক অসাধারণ খাবার। গরম ভাত বা খিচুড়ির সাথে এই আচারের দুই একটি মরিচই খাবারের স্বাদ দ্বিগুণ বাড়িয়ে তোলে। অল্প কিছু উপকরণ আর সহজ কয়েকটি ধাপ মেনে ঘরেই এই আচার খুব সহজে তৈরি করা যায় মাত্র ২০ মিনিটে!
Prep Time 10 minutes mins
Cook Time 10 minutes mins
Course Side Dish
Cuisine Bengali
Servings 10
Ingredients
- ৫০০ গ্রাম কাচা মরিচ
- ১ টেবিল চামচ জিরা
- ১ টেবিল চামচ মৌরি
- ১ টেবিল চামচ আস্ত ধনিয়া
- ২ টেবিল চামচ কালো সরিষা
- ১ চা চামচ কালো জিরা
- ১ চা চামচ মেথি
- ১ চা চামচ হলুদ গুঁড়া
- ১ চা চামচ কাশ্মিরী মরিচ গুঁড়া
- ১ চা চামচ লবণ
- ১ টি লেবুর রস
Instructions
- মরিচ পরিষ্কার করা ও প্রস্তুত করা: প্রথমে কাচা মরিচ গুলো ভালো করে পানি দিয়ে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিতে হবে। এরপর একটি সুতি কাপড় বা টিস্যু পেপারের উপর রেখে মুছে নিতে হবে। যেনো জল না থাকে।

- মশলা ভাজা ও গুঁড়ো তৈরি করা: একটি শুকনো ফ্রাই প্যান মাঝারি আঁচে গরম করে দিয়ে দিতে হবে জিরা, মৌরি, ধনিয়া, কালো জিরা, মেথি এবং সরিষা। মশলাগুলো হালকা লাল হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। পুড়ে যাওয়ার আগেই নামিয়ে নিন। মশলাগুলো ঠান্ডা হলে শিল-পাটা বা মিক্সারে গুঁড়ো করে নিন।
- মরিচ ও মশলার মিশ্রণ: ভাজা মশলার গুঁড়ো কেটে রাখা মরিচের উপর ছড়িয়ে দিন। হলুদ গুঁড়া, কাশ্মীরী মরিচ গুঁড়া এবং লবণ যোগ করুন।সবশেষে, একটি আস্ত লেবুর রস দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিতে হবে।

- আচার সংরক্ষণ: একটি শুকনো ও পরিষ্কার কাচের বয়ামে আচারটি ঢেলে রাখুন। এতে আচার দেখতেও যেমন ভালো দেখায়, থাকেও বেশ টাটকা।

Notes
অতিরিক্ত টিপসঃ
১. মরিচে যেনো কোনো জল না থাকে। জল থাকলে আচার তাড়াতাড়ি নষ্ট হয়ে যাবে।
২. মশলা পুড়ে গেলে ব্যবহার না করাই ভালো। পুড়ে মসলায় আচারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
৩. সব সময় শুকনো বয়ামে আচার সংরক্ষণ করুন। কাঁচা মরিচের আচার অন্যান্য আচারের চেয়ে বেশ আলাদা। বিশেষত যারা ঝাল খেতে খুব পছন্দ করেন তাদের জন্য একদম আদর্শ আচার এটি। অনেক ভাবে এই আচার বানানো গেলেও সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি এবং অল্প উপকরণে দেখানো হয়েছে এই রেসিপিতে। পরবর্তীতে মরিচের আচারের আরেকটি পদ্ধতি শেয়ার করাবো হবে। মরিচের আচার তৈরি করা যেমন সহজ, তেমন খেতেও বেশ অসাধারণ স্বাদযুক্ত। এছাড়া, মাঝে মধ্যে আমাদের খাবারে যে অরুচি হয় তা নিমিষেই কাটানো যায় এই আচার দিয়ে। আর এমনিতে সাধারন যেকোনো খাবারের সাথে খেতেও বেশ ভালো লাগে। আপনার প্রতিদিনের খাবারকে আরও আকর্ষণীয় করতে এই আচার এক কথায় অতুলনীয়। সাধারণ জিজ্ঞাসাঃ Q: আচার কতদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে?
A: ২-৩ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে যদি শুকনো বয়ামে ফ্রীজে রাখা হয়। Q: আচার বানাতে কোন মরিচ ভালো?
A: মাঝারি ঝাল কাঁচা মরিচ সবচেয়ে ভালো। বেশি ঝাল মরিচ হলে অতিরিক্ত ঝালের কারনে ভালো নাও লাগতে পারে। Q: আচার কি রোদে রাখা জরুরি?
A: হ্যাঁ, রোদে রাখলে আচার আরও ভালোভাবে থাকে অবে ফ্রীজে সংরক্ষন করলে দরকার হয় না।
২. মশলা পুড়ে গেলে ব্যবহার না করাই ভালো। পুড়ে মসলায় আচারের স্বাদ নষ্ট হয়ে যায়।
৩. সব সময় শুকনো বয়ামে আচার সংরক্ষণ করুন। কাঁচা মরিচের আচার অন্যান্য আচারের চেয়ে বেশ আলাদা। বিশেষত যারা ঝাল খেতে খুব পছন্দ করেন তাদের জন্য একদম আদর্শ আচার এটি। অনেক ভাবে এই আচার বানানো গেলেও সবচেয়ে সহজ পদ্ধতি এবং অল্প উপকরণে দেখানো হয়েছে এই রেসিপিতে। পরবর্তীতে মরিচের আচারের আরেকটি পদ্ধতি শেয়ার করাবো হবে। মরিচের আচার তৈরি করা যেমন সহজ, তেমন খেতেও বেশ অসাধারণ স্বাদযুক্ত। এছাড়া, মাঝে মধ্যে আমাদের খাবারে যে অরুচি হয় তা নিমিষেই কাটানো যায় এই আচার দিয়ে। আর এমনিতে সাধারন যেকোনো খাবারের সাথে খেতেও বেশ ভালো লাগে। আপনার প্রতিদিনের খাবারকে আরও আকর্ষণীয় করতে এই আচার এক কথায় অতুলনীয়। সাধারণ জিজ্ঞাসাঃ Q: আচার কতদিন পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যাবে?
A: ২-৩ মাস পর্যন্ত ভালো থাকে যদি শুকনো বয়ামে ফ্রীজে রাখা হয়। Q: আচার বানাতে কোন মরিচ ভালো?
A: মাঝারি ঝাল কাঁচা মরিচ সবচেয়ে ভালো। বেশি ঝাল মরিচ হলে অতিরিক্ত ঝালের কারনে ভালো নাও লাগতে পারে। Q: আচার কি রোদে রাখা জরুরি?
A: হ্যাঁ, রোদে রাখলে আচার আরও ভালোভাবে থাকে অবে ফ্রীজে সংরক্ষন করলে দরকার হয় না।
Keyword সহজ রেসিপি, Bangladeshi local recipe, Bangladeshi Pickle, Chilli Pickle, Green Chilli Pickle, আঁচার, কাঁচা মরিচের আচার, মুখরোচক, কিভাবে তৈরি করতে হয়, স্বাস্থ্যকর, ঘরোয়া রান্না, ভিটামিন সি





