About The Section
ধনিয়া পাতার ডিম কারি একটি মজাদার, সুস্বাদু এবং আধুনিক বাংলা রেসিপি যা সহজে তৈরি করা যায় এবং তাতেই থাকে স্বাদের ভিন্নতা। রসালো সিদ্ধ ডিম এবং সুগন্ধি ধনিয়া পাতা, মসলার সাথে একত্রিত হয়ে তৈরি হয় এক স্বাদবর্ধক কারি। যা খেতে অসাধারণ এবং মজাদার।
এই রান্নায় ব্যবহৃত মসলার সংমিশ্রণ ও ধনিয়া পাতার তাজা স্বাদ মিলে ডিমের স্বাদকে আরো আকর্ষণীয় করে তোলে। দারুচিনি, তেজপাতা এবং অন্যান্য মিষ্টি ঝাল মশলা মিশিয়ে তৈরি হওয়া এই ডিম কারি ঘরোয়া রান্নার অন্যতম একটি প্রিয় আইটেম।
খেতে একদমই মোলায়েম আর ধনিয়া পাতার তাজা গন্ধে পুরো খাবার এক নতুন অনুভূতি এনে দেয় যেন।
কেন এটি খেতে ভালো লাগবেঃ
১. ডিমের প্রোটিন আর ধনিয়া পাতার ফ্রেশ টেক্সচার এবং সুগন্ধ এক নতুন স্বাদ যোগ করে।
২. বানানো সহজ এবং একেবারে মুখরোচক, বিশেষ কোনো দিনে বা সাধারণ দিনে- খুব ভালো লাগে খাবারটি।
৩. মসলার কম্বিনেশন আর ধনিয়া পাতার সংমিশ্রণ বাড়িয়ে দেয় খাবারের মজা।
৪. স্বাস্থ্যকর। কারণ ডিমের প্রোটিন এবং ধনিয়া পাতার ভিটামিন ও খনিজ উপাদান শরীরের জন্য উপকারী।
কি কি থাকা লাগবে রান্নাটা করতেঃ
১. ডিম (সিদ্ধ করা)
২. ধনিয়া পাতা (ফ্রেশ)
৩. রসুন, পেঁয়াজ কুচি
৪. গরম মসলা (দারুচিনি, তেজপাতা, এলাচ)
৫. সরিষার তেল বা সয়াবিন তেল
৬. লবণ, চিনি এবং হালকা হলুদ
স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ
- ডিমে উচ্চ মানের প্রোটিন থাকে যা শরীরের পেশী গঠনে সাহায্য করে।
- ধনিয়া পাতায় রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের টক্সিন বের করে।
- মসলার মধ্যে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান রয়েছে যা শরীরের শক্তি বাড়ায় এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত করে।
পরিবেশনঃ
ধনিয়া পাতার ডিম কারি গরম ভাত, পরোটা বা রুটির সাথে পরিবেশন করুন। ধনিয়া পাতা কুচি ছড়িয়ে দিলে স্বাদ এবং সৌন্দর্য দুটোই বাড়বে।
তাহলে আর দেরি কেন? চলুন, তৈরি করি সুস্বাদু ধনিয়া পাতার ডিম কারি।

ধনিপাতার ডিম কারী
ধনিয়া পাতার ডিম কারি একটি সুস্বাদু ও ভিন্ন স্বাদের রেসিপি, যেখানে সিদ্ধ ডিম এবং তাজা ধনিয়া পাতার পেস্ট একত্রে মিশে তৈরি করে এক অতুলনীয় স্বাদের । এই সাদাসিধে, সুস্বাদু খাবার আপনার পেট এবং মন উভয়কে তৃপ্ত করবে!উল্লেখ্য, বিশেষ এই রান্নাটি গরম ভাত, পরোটা বা রুটির সাথে খাওয়ার জন্য একদম পারফেক্ট।
Prep Time 20 minutes mins
Cook Time 20 minutes mins
Course Main Course
Cuisine Bengali
Servings 5
Ingredients
- ৫ টি ডিম
- ১ কাপ ধনিয়া পাটা
- ১ কাপ পেঁয়াজ কুচি
- ৭-৮ টি রসুন কোয়া
- ১ ইঞ্চি আদা
- ৩-৪ টি কাঁচা মরিচ
- ১/২ চা চামচ হলুদ গুঁড়া
- ১ চা চামচ মরিচ গুঁড়া
- ১/২ চা চামচ ভাজা জিরার গুঁড়া
- ১/২ চা চামচ গরম মসলা
- ১/২ চা চামচ চিনি
- ১ টুকরো লেবুর রস
- ১ চা চামচ লবণ (স্বাদ মতো)
Instructions
- প্রথমে ডিম সেদ্ধ করুন: এই রান্নাটির জন্য প্রথমে ৫টি ডিম সেদ্ধ করে নিতে হবে। আমরা এই রান্নায় হাঁসের ডিম নিয়েছিলাম। ডিম গুলো সেদ্ধ হলে খোসা ছাড়িয়ে নিন। এছাড়া মসলা ভালোভাবে যেন মিশে সেজন্য ছুড়ি দিয়ে কাঁচিয়ে নিন।
- পেঁয়াজ কেটে নিতে হবে: এবার কয়েকটা পেঁয়াজ পাতলা করে কেটে এক কাপ পরিমাণ করে নিন। দেশি মাঝারি সাইজের পেঁয়াজ হলে ৬-৭ টি এর মতো লাগে।
- পেঁয়াজ ও রসুন ভেজে নেয়া: পেঁয়াজ কাটা শেষে কড়াইতে তেল দিয়ে গরম করে তাতে পেঁয়াজ কুচি এবং রসুনের কোয়া গুলো দিয়ে হালকা সোনালি-বাদামী হওয়া পর্যন্ত ভেজে নিতে হবে। ভাজার পর অনেকটা বেরেস্তার মতো হবে।পেঁয়াজ- রসুনের একত্রিত ভাজা এই রান্নার স্বাদ বাড়াবে অনেক গুনে। তাছাড়া ভাজা শেষে কড়াইতে তেল রাখতে হবে মূল রান্না শুরু করার জন্য।
- ধনিয়া পাতা ও মসলার পেস্ট তৈরি করুন: এখন ধনিয়া পাতা, আদা, কাঁচা মরিচ এবং একত্রে ভেজে নেয়া পেঁয়াজ ও রসুনের কোয়াগুলো ব্লেন্ডারে দিয়ে ভালো ভাবে পেস্ট তৈরি করে নিন। এই পেস্টটি এই ভিন্ন স্বাদের ডিমের কারীর মূল মসলার মিশ্রণ বলা যায়।
- ডিমগুলো ভেজে নিন: কড়াইতে তেল গরম করে ডিমগুলো একে একে সোনালী রঙ হওয়ার আগ পর্যন্ত ভেজে নিন। এবার অল্প রসুন কুচিও তাতে যোগ করুন।
- মসলার পেস্ট যোগ করুন: ডিমগুলো ভাজা হয়ে গেলে তাতে ধনিয়া পাতা, পেঁয়াজ- রসুনের ভাজা সহ তৈরি করা মসলার সবুজ পেস্ট যোগ করুন। এবার অন্যান্য মসলা; যেমন- হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, ভাজা জিরার গুঁড়া ও লবণ মিশিয়ে রান্না করতে হবে। মসলার মিশ্রণের পেস্ট ধুয়ে পানি দিলে আলাদা করে আর পানি দেবার দরকার নেই।
- মসলা কষানোঃ কিছু সময় নিয়ে মসলা গুলো কষে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হবে। এরপর মসলা থেকে তেল ছেড়ে দিলে কিছু সময়ের জন্য ঢাকনা দিতে হবে।
- অন্যান্য মসলা যোগঃ ঢাকনা খুলে লেবুর রস, চিনি, গরম মসলা এবং কাঁচা মরিচ কেটে ছড়িয়ে দিতে হবে। অল্প একটু নেড়ে উপকরণগুলো মিশিয়েই নিলেই তৈরি ভিন্ন স্বাদের মজাদার এই ডিমের কারী।
- পরিবেশনঃ ধনিয়া পাতার সাথে আদা-রসুন-পেঁয়াজের ফ্লেভার আর লেবুর রসের ঘ্রাণে রান্না এই খাবারটি গরম ভাত অথবা রুটির সাথে খেতেও বেশ মজাদার।
Notes
অতিরিক্ত টিপস
১. ডিম সেদ্ধ করার সময় ডিমগুলোকে বেশি শক্ত হতে না দিয়ে মাঝারি সেদ্ধ করা ভালো, এতে কারীর সাথে মাখামাখা টেক্সারে খেতে সুস্বাদু লাগে। ২. ঝাল যদি বেশি পছন্দ করেন, তবে কাঁচা মরিচের পরিমাণ বাড়াতে পারেন। তবে বাচ্চারা খেলে ঝাল কমিয়ে রান্না করাই ভালো।
৩. পেঁয়াজ ভালো করে ভাজা হলে কারীতে একটু মিষ্টি ও মজাদার স্বাদ যুক্ত হবে। বেরেস্তার মতো তবে হালকা সোনালি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। ৪. ধনিয়া পাতা তাজা ও কচি হলে ভাল হয়। যেহেতু এই রান্নাটার মূল মসলার পেস্ট বানাতে হবে ধনিয়া পাতা দিয়ে। তাজা ধনিয়া পাতা দিয়ে পেস্ট তৈরি করলে কারীতে আরও মজাদার স্বাদ ও গন্ধ পাবেন। ৫. ঘ্রাণ এবং রস যুক্ত লেবু হলে এটি এই ডিমের কারীতে বেশ একটি ভালো ফ্লেভার তৈরি করে। ৬. ঝোল বেশি রাখতে চাইলে একটু বেশি পানি যোগ করুন, আর যদি শুকনা রাখতে চান তবে কম পানি ব্যবহার করুন। যদিও এই রান্নায় মসলার পেস্ট ধোয়া পানি যোগ করলেই হয়ে যায়। ৭. ডিম কারীকে একটি সুন্দর, সাদা বা কালো বাটিতে পরিবেশন করতে পারেন। এতে সোনালি রঙের ডিম কারী আরও আকর্ষণীয় দেখাবে। ৮. খাওয়ার সময় ভাতের সাথে এক ফালি লেবুর টুকরা এবং কাঁচা মরিচ রাখতে পারেন। আলাদা করে লেবুর রসের টক ভাব আর মরিচের ঝাল মিলে দারুন একটি স্বাদ তৈরি করবে, খাবার মুখে দেবার সময়। পরিশেষে, ধনিয়া পাতার ডিম কারি আধুনিক বাঙালি রান্নার একটি মজাদার উদাহরণ। ঘ্রাণে মোড়ানো ধনিয়া পাতা আর মশলাদার ডিমের অপূর্ব মেলবন্ধন যেন প্রতিটি গ্রাসে এনে দেয় ঘরোয়া স্বাদের নিখুঁত অনুভূতি। পরিবার কিংবা প্রিয়জনদের নিয়ে জমিয়ে খাওয়ার মতো একটি খাবার এটি। গরম ভাতের সাথে এর স্বাদ অসাধারণ হলেও রুটি বা পরোটার সাথেও সমান জমে। রান্না যেমন সহজ, তেমনি স্বাদে ভরপুর। আপনারা অবশ্যই ট্রাই করে জানাবেন কেমন লাগলো এই মজাদার রেসিপি। হয়তো এই রান্নাটিই হবে আপনার পরবর্তী পারিবারিক মিলে-খাওয়া বা উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
১. ডিম সেদ্ধ করার সময় ডিমগুলোকে বেশি শক্ত হতে না দিয়ে মাঝারি সেদ্ধ করা ভালো, এতে কারীর সাথে মাখামাখা টেক্সারে খেতে সুস্বাদু লাগে। ২. ঝাল যদি বেশি পছন্দ করেন, তবে কাঁচা মরিচের পরিমাণ বাড়াতে পারেন। তবে বাচ্চারা খেলে ঝাল কমিয়ে রান্না করাই ভালো।
৩. পেঁয়াজ ভালো করে ভাজা হলে কারীতে একটু মিষ্টি ও মজাদার স্বাদ যুক্ত হবে। বেরেস্তার মতো তবে হালকা সোনালি রঙ হওয়া পর্যন্ত ভাজুন। ৪. ধনিয়া পাতা তাজা ও কচি হলে ভাল হয়। যেহেতু এই রান্নাটার মূল মসলার পেস্ট বানাতে হবে ধনিয়া পাতা দিয়ে। তাজা ধনিয়া পাতা দিয়ে পেস্ট তৈরি করলে কারীতে আরও মজাদার স্বাদ ও গন্ধ পাবেন। ৫. ঘ্রাণ এবং রস যুক্ত লেবু হলে এটি এই ডিমের কারীতে বেশ একটি ভালো ফ্লেভার তৈরি করে। ৬. ঝোল বেশি রাখতে চাইলে একটু বেশি পানি যোগ করুন, আর যদি শুকনা রাখতে চান তবে কম পানি ব্যবহার করুন। যদিও এই রান্নায় মসলার পেস্ট ধোয়া পানি যোগ করলেই হয়ে যায়। ৭. ডিম কারীকে একটি সুন্দর, সাদা বা কালো বাটিতে পরিবেশন করতে পারেন। এতে সোনালি রঙের ডিম কারী আরও আকর্ষণীয় দেখাবে। ৮. খাওয়ার সময় ভাতের সাথে এক ফালি লেবুর টুকরা এবং কাঁচা মরিচ রাখতে পারেন। আলাদা করে লেবুর রসের টক ভাব আর মরিচের ঝাল মিলে দারুন একটি স্বাদ তৈরি করবে, খাবার মুখে দেবার সময়। পরিশেষে, ধনিয়া পাতার ডিম কারি আধুনিক বাঙালি রান্নার একটি মজাদার উদাহরণ। ঘ্রাণে মোড়ানো ধনিয়া পাতা আর মশলাদার ডিমের অপূর্ব মেলবন্ধন যেন প্রতিটি গ্রাসে এনে দেয় ঘরোয়া স্বাদের নিখুঁত অনুভূতি। পরিবার কিংবা প্রিয়জনদের নিয়ে জমিয়ে খাওয়ার মতো একটি খাবার এটি। গরম ভাতের সাথে এর স্বাদ অসাধারণ হলেও রুটি বা পরোটার সাথেও সমান জমে। রান্না যেমন সহজ, তেমনি স্বাদে ভরপুর। আপনারা অবশ্যই ট্রাই করে জানাবেন কেমন লাগলো এই মজাদার রেসিপি। হয়তো এই রান্নাটিই হবে আপনার পরবর্তী পারিবারিক মিলে-খাওয়া বা উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
Keyword Egg Recipe, Easy Recipes, Bengali cuisine, Egg Curry